Search
Close this search box.

আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ডাহা মিথ্যা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি মিয়ানমারের জান্তা সরকার

স্টাফ রিপোর্টার : আমাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে আমি তার ধারে কাছেও নেই। এটি ডাহা মিথ্যা। নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলিনি। বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষেই মোমেন সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন।

তাহলে কি বলেছেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গ্লোবাল কনটেস্ট যে অস্থিতিশীল অবস্থা তার প্রেক্ষিতে স্থিতিশীলতার কথা বলেছি। সম্প্রতি বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মধ্যে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এ অবস্থায় রবিবার বক্তব্যের বিষয়ে মন্ত্রীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করার জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানানো হয়।

গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেরই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। এটি সম্ভব যদি শেখ হাসিনার সরকারকে সমর্থন দেয় ভারত। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারতবর্ষের সরকারকে সেটা করতে অনুরোধ করেছি। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্যে দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। খোদ আওয়ামী লীগও এ বক্তব্যে বিব্রত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সেটি তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। এটি আমাদের সরকারের বক্তব্য না, দলেরও না। এই ধরনের অনুরোধ আওয়ামী লীগ করে না। শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও কাউকে এমন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। এরপর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, প্রশ্ন হলো তিনি তো (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) আমাদের দলের কেউ নন। সুতরাং আমাদের দল তার এই বক্তব্যে বিব্রত হওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তথ্যমন্ত্রীও বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ নন, তাই ব্যক্তিগত বক্তব্যের দায় আওয়ামী লীগ বা সরকার নেবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ