Search
Close this search box.

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করুন – পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করুন - পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার – জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করার আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার সকালে সিলেটে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকলের প্রতি তিনি এ আহবান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের এই দেশটা তৈরি করে দিয়ে গেছেন। তিনি শুধু একটা ভূখণ্ড দিয়ে যান নাই- জাতির পিতা হিসেবে যা যা করার, তিনি তা করেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের পক্ষে ১২৬টি দেশের স্বীকৃতি অর্জন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। জাতিসংঘসহ পৃথিবীর বড় বড় সকল সংস্থার সদস্যপদ অর্জন করেছিলেন। মাত্র ৯ মাসের মাথায় তিনি আমাদের একটি শক্তিশালী সংবিধান দিয়ে গেছেন।’ ড. মোমেন বলেন, ‘এসব সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য। শুধু তাই নয়- তিনি আমাদের একটি স্বপ্ন দেখিয়েছেন- সোনার বাংলার স্বপ্ন। একটা উন্নত, সমৃদ্ধশালী, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি গড়ে তোলার স্বপ্ন। এখন আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের হাল ধরেছেন। পিতার এবং বাংলাদেশের জনগণের সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনের জন্য তিনি একটা রোডম্যাপ দিয়েছেন। আমরা আশা করছি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ‘সোনার বাংলা’ অর্থাৎ একটা সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হবে। আর এটি করার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমি সবার প্রতি আহবান জানাই।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের গর্বের বিষয় যে, উপাচার্য (অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ) ও তাঁর সহকর্মীদের আন্তরিকতা ও ইচ্ছা আছে, যার ফলে এই সুন্দর ছাত্রাবাসটা (সৈয়দ মুজতবা আলী হল) তাঁরা গড়ে তুলেছেন। শুধু এই ছাত্রাবাস নয়, ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো চাহিদা অনেকাংশে পূরণ হবে। আর এক্ষেত্রে তারা কোনরকম কারচুপির প্রশ্রয় দেন নাই।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য ড. মোমেন উপাচার্যের প্রতি ধন্যবাদ জানান এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বের প্রতি সহযোগিতা করে যাওয়ারও অনুরোধ জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য পূরণ হয় না- উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে র‍্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে- এটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এজন্য তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাংকিংয়ে উন্নতি ও পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে কীভাবে কর্মসংস্থানের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলা যায় সেদিকেও বিশেষ নজর দেয়ার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

সৈয়দ মুজতবা আলীর বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বই কেনা ও বই পড়ার প্রতি মনোযোগী হতেও আহবান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত আবাসিক হল সিলেটের গর্ব সৈয়দ মুজতবা আলীর নামে নামকরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ-এর সভাপতি অনুষ্ঠিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, সৈয়দ মুজতবা আলীর ভ্রাতুষ্পুত্র সৈয়দ রুহুল আমীন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু সাঈদ আরফিন খাঁন। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ