স্টাফ রিপোর্টার – বিএনপি খাদের মধ্যে হাবুডুবু খাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি না করলে খাদ থেকে উঠতে পারবে না তারা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তাদের ফিরে আসতে হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
দীর্ঘ ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম আউয়াল, নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভিসহ স্থানীয় নেতারা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোনো ইস্যু সৃষ্টি করে বিএনপিকে কোনো তাণ্ডব করতে দেয়া হবে না বাংলাদেশে। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কোনো লড়াইয়ে জিততে পারেনি বিএনপি। আগামী নির্বাচনে আবারও নৌকার বিজয় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বিএনপি এখনও ষড়যন্ত্র করছে। তারা হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।
কামরুল ইসলাম বলেন, সরকারের নয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। এখন দেশের সব অর্জনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে তারা। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো সন্ত্রাস করে না। বিএনপি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। বিএনপি অংশ না নিলে জাতীয় নির্বাচন থেমে থাকবে না। নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।
নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিতাড়িত করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মির্জা আজম বলেন, পদবাণিজ্য করে কাউকে দলের কমিটিতে নিলে দলের সব অর্জন ম্লান হয়ে যাবে।
সেলিনা হায়াত আইভি বলেন, আওয়ামী লীগের ক্ষুদ্র নেতাকর্মীদেরও অসম্মান করার অধিকার কারও নেই। আওয়ামী লীগের নৌকা দিতে হবে সোনারগাঁওয়ে। এখানে জাতীয় পার্টিকে মেনে নেয়া যায় না। তৃণমূলকে ধ্বংস করেছে জাতীয় পার্টি।
শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও সুশীলদের বিষয়ে নিজেদের স্পষ্ট করতে হবে। সামনে প্রচণ্ড আঘাত আসবে সেটা মোকাবিলা করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে খেলবো। লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। ২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সবাইকে এক সঙ্গে থাকার আহবান। বাংলাদেশের জন্য শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।