Search
Close this search box.

ডিম আমদানির দরকার নেই, কম খাব – কৃষিমন্ত্রী

ডিম আমদানির দরকার নেই, কম খাব - কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার – কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির দরকার নেই। কম খাব। বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানি করলে আমাদের আমদানি নির্ভরতা বাড়বে, যা আমরা চাই না। তাই ডিম আমদানির দরকার নেই। একটু কষ্ট হবে, কম খাব। তারপরও স্থানীয় পর্যায়ে ডিম উৎপাদন করে খেতে হবে। সরবরাহ কমে গেছে বলে দাম বেড়েছে। আর এ সুযোগটা কাজে লাগিয়ে নানা চক্রান্ত করে কিছু হ্যাচারি মালিক ডিমের বাজার অস্থির করে তুলেছে। তাই ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের উচিত হবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের কঠোরভাবে মনিটরিং জোরদার করা। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

আন্তর্জাতিক বাজারে দ্রব্যমূল্য তুলনামূলকভাবে কমেনি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেশি। ইউরিয়া সারের দাম কম ছিল, গতকাল আবার তা বেড়েছে। টিএসপি, পটাশিয়াম প্রতিটি সারের দাম তিন গুণ, চার গুণ বেশি। ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারের সারের দাম এখন ১ হাজার ডলার। কাজেই ওভাবে কমেনি, আন্তর্জাতিক বাজারে এখনো চরম অস্থিরতা রয়েছে।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কৃষি সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল গাফফার খান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলম। এর আগে কৃষিপ্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও ফসল প্রদর্শনীর স্টল ঘুরে দেখেন মন্ত্রী।

আয়োজকরা জানান, উদ্বোধনী এ কর্মশালার কারিগরি অধিবেশন আগামী ১৩ থেকে ১৯ অক্টোবর হবে। বর্তমানে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে ২১১টি ফসল নিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে ৬২৫টি উচ্চ ফলনশীল জাত ও ৬১২টি উন্নত উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে সব ধরনের ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ