স্টাফ রিপোর্টার – পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর বিএনপির সংসদ সদস্যদের আসন শূন্য ঘোষণা করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। সাতজনের মধ্যে পাঁচজন সশরীরে উপস্থিত থাকায় তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে আসনগুলো শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি দুজনের পদত্যাগপত্র যাচাই-বাছাই করে পরে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেছেন তিনি।
এ বিষয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, তারা আমার কাছে সাত জনের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। পাঁচ জন সশরীরে ছিলেন, তাদেরটা গ্রহণ করা হয়েছে। সংবিধানের ৬৭(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ওই আসনগুলো শূন্য হয়ে গেছে। বাকি দুইজনের আবেদন যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেব। এর মধ্যে সংসদ সচিবালয় সাত্তার সাহেবের স্বাক্ষর মিলিয়ে দেখবেন এবং কথা বলবেন। সব ঠিক থাকলে তা গৃহীত হবে। তবে ইমেইলে দেওয়ায় হারুনের আবেদন গ্রহণ হবে না, তাকে পরে এসে জমা দিতে হবে।
বিএনপির এমপিদের মধ্যে বগুড়া-৭ আসনের জি এম সিরাজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও-৩ এর জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন এবং সংরক্ষিত নারী আসনের রুমিন ফারহানা রবিবার সকালে সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আব্দুস সাত্তার ‘অসুস্থতার’ কারণে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এর হারুনুর রশীদ বিদেশে থাকায় সংসদ ভবনে উপস্থিত না হলেও তাদের স্বাক্ষর সম্বলিত পদত্যাগপত্র স্পিকারের হাতে দেন দলীয় হুইপ রুমিন ফারহানা।
সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৭ (২) এ বলা হয়েছে – কোনো সংসদ সদস্য স্পিকারের কাছে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করতে পারবেন, এবং স্পিকার – কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকলে বা অন্য কোনো কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে ডেপুটি স্পিকার – যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হবে।
পরবর্তী করণীয় জানিয়ে স্পিকার বলেন, আসন শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশের পর তাদের কাছে পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন হবে আসন শূন্যের বিষয়ে এখন গেজেট হবে, পরে সংসদ অধিবেশন যখন বসবে, সেখানেও জানানো হবে।