জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে দলটির সংস্কার-সংক্রান্ত অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, রাজনৈতিক সংস্কার ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা হবে।”
শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, “সংস্কারের মূল কাঠামো বর্তমান সরকারের আমলেই গড়ে তুলতে হবে। সংস্কার ছাড়া কোনো নির্বাচন ফলপ্রসূ হবে না। এ ছাড়া, সংবিধান ও গণপরিষদের বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও বৈঠকে উপস্থাপন করেছি।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “সংস্কার ও নির্বাচনের রূপরেখা নির্ধারণ করা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জাতিসংঘ মনে করে। এ দেশের জনগণকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে জাতিসংঘ মহাসচিব আশা প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং আসন্ন নির্বাচন বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।”
বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “আমরা রাজনৈতিক সংস্কার, সুষ্ঠু নির্বাচন, টেকসই গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্য নিয়ে আলোচনা করেছি। জাতিসংঘ মহাসচিব আমাদের অধিকাংশ বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।”
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “গণহত্যা-সংক্রান্ত জাতিসংঘের প্রতিবেদনে যে সুপারিশ দেওয়া হয়েছে, তা বাস্তবায়নের জন্য সংস্থাটির সহযোগিতা প্রয়োজন। এখনো জাতিসংঘের তিনটি সংস্থায় শেখ হাসিনার আত্মীয়রা কর্মরত আছেন।”
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে জুলাই গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যের অবস্থানও তুলে ধরা হয়েছে।”