স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভারতীয় মিডিয়ায় অপপ্রচার এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন— জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদল। লংমার্চটি বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়।
এর আগে সকালে ৭টা থেকেই যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে জমায়েত হতে থাকেন। এসময় ভারতবিরোধী স্লোগানে তাদের উপস্থিতি পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলে। এই কর্মসূচি উপলক্ষে নয়াপল্টন এবং আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে উপস্থিত ছিলেন, যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়।
বিএনপির ৩ সংগঠনের লংমার্চের রুট হলো- সকাল ৮টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লংমার্চ শুরু হয়ে পল্টন-ফকিরাপুল-ইত্তেফাক মোড় হয়ে ফ্লাইওভারে উঠবে। তারপর সাইনবোর্ড, চিটাগং রোড, কাঁচপুর মোড়, তারাবো, বরফা, ভুলতা, গাউছিয়া, চনপাড়া, মাধবদী, পাঁচদোনা, সাহেপ্রতাব, ভেলানগর, ইটখোলা, মারজাল, বারুইচা হয়ে ভৈরব পৌঁছাবে। এরপর ভৈরব থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর অভিমুখে রওনা হবে লংমার্চ।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের সঞ্চালনায় লংমার্চপূর্ব নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষপ্তি সমাবেশে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
লংমার্চের পরবর্তী পর্যায়ে ভৈরব মোড়ে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী এবং যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না বক্তব্য দেবেন। কর্মসূচি শেষ হবে আখাউড়া স্থলবন্দরে সমাপনী সমাবেশের মাধ্যমে। যেখানে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
কর্মসূচির আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আখাউড়া পৌঁছানোর আগে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ হাঁটবে নেতাকর্মীরা এবং পরবর্তীতে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হবেন।