বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সম্প্রতি সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর মতোই, সেনাবাহিনীকে জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে, যা প্রতিহত করতে দেশপ্রেমিক নাগরিকদের সজাগ থাকতে হবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপি মিডিয়া সেল আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, অতীতের স্বৈরাচারী সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ভিত্তি নষ্ট করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, অথচ তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে সত্য প্রকাশ করতে হবে। সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিভিন্ন বিষয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারা যেমন স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ করেছেন, তেমনি সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনেও বহু মানুষ নিখোঁজ ও নিহত হয়েছেন। তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়, সে বিষয়ে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ যেন স্বার্থক হয়, সে জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বর্তমান সরকারকে ‘পতিত স্বৈরাচার’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি মহল এখনো ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে এই ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া সম্ভব।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নতুন করে ষড়যন্ত্র চলছে। অতীতে ফ্যাসিবাদী শাসন যেমন স্বাধীনতাকে বিপন্ন করেছিল, এবারও একই উদ্দেশ্যে দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে।
ইফতার মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই সিকদারসহ সাংবাদিক ও দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।