খুলনায় পঞ্চবীথি ক্লাবের দখল উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয় নেতার বিরুদ্ধে পাল্টা দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগরীর যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম হাওলাদার একটি এবং জেলা কমিটির সদস্য শেখ সাকিব আহমেদ আরেকটি মামলা করেন। দুটো মামলাই খুলনা সদর থানায় দায়ের করা হয়।
নাঈম হাওলাদারের দায়ের করা মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন— নুরুল হক নুর, গণঅধিকার পরিষদের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস কে রাশেদ, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জনি ও তাইজুল ইসলাম।
অন্যদিকে, শেখ সাকিব আহমেদের দায়ের করা মামলায় এস কে রাশেদ ও জনির পাশাপাশি আরও দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন— গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ শেখ রুবেল ও হিরোন।
এর আগে, ২১ মার্চ এস কে রাশেদ বাদী হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা কমিটির সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন, মহররম মাহীম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক শেখ রাফসান জানি ও কেন্দ্রীয় সদস্য রুমি রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন।
সংঘর্ষের পটভূমিস্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা নগরীর শান্তিধাম মোড়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একটি সরকারি ভবনে পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্র নামে একটি ক্লাব ছিল। গত ২৭ জানুয়ারি ভবনটি দখল করে গণঅধিকার পরিষদ সেখানে কার্যালয় স্থাপন করে। দলের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে রাতেই এস কে রাশেদকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে বহিষ্কারের পরও তিনি ওই ভবনে অবস্থান করে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সম্প্রতি সেখানে গণঅধিকার পরিষদের আরও কয়েকটি অঙ্গ সংগঠনের সাইনবোর্ড লাগানো হয়।
১৮ মার্চ সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির খুলনা শাখার নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভবনটি দখলমুক্ত করার ঘোষণা দেন। রাত ৯টার দিকে তারা ভবন পুনরুদ্ধারের জন্য গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম জানিয়েছেন, উভয় পক্ষ থেকে পৃথক মামলা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।