Search
Close this search box.

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ

মিথুন আশরাফ ॥ বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার সিরিজ শুরু হচ্ছে আগামীকাল শনিবার। প্রথম টি-টোয়েন্টি দিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫ টায় শুরু হবে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। শুধু এই ম্যাচটিই নয়, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজের সব ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন ধ্রুব যেমন বলেছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা অবশ্যই জেতার। আমরা চেষ্টা করব এখানে (জিম্বাবুয়েতে) সবগুলো ম্যাচ জেতার।’ আফিফের মতো সব ক্রিকেটারেরই একই আশা। সবাই চায় জিম্বাবুয়েকে সব ম্যাচে হারাতে। আগামীকাল প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হওয়ার পর রবিবারই দ্বিতীয় ও ২ আগস্ট তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ৫ আগস্ট প্রথম, ৭ আগস্ট দ্বিতীয় ও ১০ আগস্ট তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সবকটি ম্যাচ হবে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় ও ওয়ানডে ম্যাচগুলো দুপুর সোয়া ১ টায় শুরু হবে।

যে ফরমেটেই খেলা হোক, জিম্বাবুয়েকে এখন খুব সহজেই হারিয়ে দেয় বাংলাদেশ। সব ফরমেট মিলিয়ে ২০১৮ সাল থেকেই একচেটিয়া জিতে চলেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সাল থেকে ২২ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টি ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া সবকটিতেই জিতেছে। সবশেষ গতবছর জুলাইয়ে হারারেতেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিতেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৩ সাল থেকে দ্বিপক্ষীয় একটি সিরিজেও হারেনি বাংলাদেশ। ১৪টি সিরিজে বাংলাদেশেরই জয়জয়কার হয়েছে। সবশেষ ৬ সিরিজে টানা জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ও আছে। ২০০৬ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬ টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে একটিতেও হারেনি বাংলাদেশ। সবশেষ টানা দুটি সিরিজসহ তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি তিনটিতে ড্র হয়েছে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে কখনোই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে দুই ম্যাচের সিরিজে ড্র হয়। গতবছর তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ।

দুই দলের মধ্যকার ১৮টি ওয়ানডে সিরিজে লড়াই হয়। জিম্বাবুয়ে ৬টিতে ও বাংলাদেশ ১২টিতে জিতে। সবশেষ টানা ৫টি ওয়ানডে সিরিজে জিতে বাংলাদেশই। ২০১৪ সাল থেকে সব কটি ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ে শক্তিশালী দল নয়। বাংলাদেশও খুব শক্তিশালী নয়। ইনজুরির জন্য জিম্বাবুয়ের দুই তারকা পেসার ব্লেসিং মুজুরাবানি ও টেন্ডাই চাতারা টি-টোয়েন্টি দলে নেই। আবার বাংলাদেশ শিবিরে নেই অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাতে সিরিজ খুব সহজ হবে না। চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হবে বাংলাদেশকে। তবে এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই এবার শুধু টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো নয়, ওয়ানডে সিরিজের সবকটি ম্যাচই জিততে চায় বাংলাদেশ।

জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশের টি২০ দল : মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেনই ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), শেখ মাহাদী, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও পাভেল হোসেন ইমন।

জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশের ওয়ানডে দল : তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তাইজুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে টি-টোয়েন্টি দল : ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), রায়ান বার্ল, রেজিস চাকাভা, তানাকা চিভাঙ্গা, লুক জঙ্গুয়ে, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলি মাধেভেরে, টাডিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিয়োঙ্গা, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়াউচি, সিকান্দার রাজা, মিলন্টন শুম্বা, শন উইলিয়ামস।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ