স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অসাধারণ বোলিং করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বোলিং ঝলক দেখিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন। একাই ৫ উইকেট শিকার করে নিয়েছেন। তাতে করে জিম্বাবুয়ে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি। ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে এই রান করে জিম্বাবুয়ে। আর সৈকত ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করে নেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই প্রথম ৫ উইকেট শিকার করতে পারেন সৈকত। প্রথম ওভারের প্রথম বলেই জিম্বাবুয়েকে ধাক্কা দেন সৈকত। প্রথম বলেই রেগিস চাকাভাকে ও ওভারের শেষ বলে ওয়েসলি মাধেভেরেকে (৪) আউট করে দেন সৈকত। মাধেভেরে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬৭ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে বাংলাদেশকে ডোবান। জিম্বাবুয়ে যে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২০৫ রানের বড় স্কোর গড়ে, বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর গড়ে, তার শুরুটা মাধেভেরের ঝড়ো ইনিংসেই হয়। তাতে করে ১৭ রানে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। এবার তাকে খুব বেশিদুর যেতে দেননি মোসাদ্দেক। ২ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে।
সৈকত এক ওভার করতে আসেন, আর একটি করে উইকেট নিতে থাকেন। নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে আরেকটি উইকেট নিয়ে ফেলেন সৈকত। এবার অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে (১) আউট করে দেন। ২ ওভারেই ৩ উইকেট শিকার করে ফেলেন। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবার ২ উইকেটের বেশি শিকার করেন সৈকত। এরআগে ২০১৮ সালে দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়েছিলেন সৈকত। ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারায় পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। অন্য এক বাংলাদেশ দলকেই যেন দেখার মিলতে শুরু করে।
সৈকত নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে শন উইলিয়ামসকেও (৮) কট এন্ড বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান। ২০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। সৈকতও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৪ উইকেট শিকার করে নেন। এরআগে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি, কোন ফরমেটেই ৪ উইকেট নিতে পারেননি সৈকত। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন। এবার বোলিংয়ে সব কিছুকেই পেছনে ফেলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, ম্যাচটি যে সৈকতময় হতে চলেছে সেই ইঙ্গিতও মিলে যায়। ম্যাচটিতে নিজের চতুর্থ ও শেষ ওভার করতে এসেও আরেকটি উইকেট নেন সৈকত। এবার মিল্টন শোম্বাকে (৩) আউট করে দেন। ৫ উইকেট শিকার করে নেন সৈকত। সেই সাথে ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন সৈকত। টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট শিকার করা ইলিয়াস সানি, মুস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসানের কাতারে নাম লেখান। সৈকতের অসাধারণ বোলিংয়ে ৩১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে।
সেখান থেকে সিকান্দার রাজার ৬২ ও রায়ান বার্লের ৩২ রানের ইনিংসের সাথে দুইজনের ষষ্ঠ উইকেটের জুটির ৮০ রানে জিম্বাবুয়ে ১৩৫ রানে যেতে পারে। তবে শুরুতেই যে সৈকত জিম্বাবুয়ের ব্যাটিংয়ে ধ্বস নামান, তাতেই জিম্বাবুয়ে আসলে কাত হয়ে যায়। এমন বোলিং ঝলকই দেখান সৈকত, ক্যারিয়ার সেরা বোলিংই করে ফেলেন।