মিথুন আশরাফ – হারলেই এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায়। জিতলে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত। এমন বাঁচা-মরার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কার কাছে ২ উইকেটে হেরে বিদায় নিল বাংলাদেশ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ জিতে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করে নিল শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচটিতে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৮৩ রান করে বাংলাদেশ। শুরুতে ওপেনিংয়ে নামা মেহেদি হাসান মিরাজের ৩৮ রান, এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব’র ৩৯ রানের সাথে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ২৭, সাকিব আল হাসানের ২৪ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের করা অপরাজিত ২৪ রানে বিশাল স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ও রিয়াদ মিলে যে পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন, তাতেই বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে যায়। হাসারাঙ্গা ও করুনারত্নে দুটি করে উইকেট নেন।
জবাব দিতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯.২ ওভারে ১৮৪ রান করে জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। কুশল মেন্ডিসই ম্যাচ জিতিয়ে দিচ্ছিলেন। ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন। দলের ১৩০ রানেও টিকে থাকেন। ৩৭ বলেই ৬০ রানও করে ফেলেন। ১৩১ রানের সময়ে মুস্তাফিজুর রহমান আটকান। মেন্ডিসকে আউট করে দিলেও দাসুন শানাকাকে (৪৫) ঠেকানো যায়নি। শেষে আশিথা ৩ বল খেলার সুযোগ পেয়ে অপরাজিত ১০ রান করে ম্যাচ জেতান। শেষ ওভারে, শেষ ৬ বলে জিততে ৮ রান লাগে। প্রথম বলে ১ রান হয়। দ্বিতীয় বলে চার হয়। তৃতীয় বলে নোসহ ২ রান হয়। তাতেই ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। ৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে শ্রীলঙ্কা। টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই এবাদত হোসেন ৩ উইকেট শিকার করে নেন।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা – দুই দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হারে। দুই দলের ব্যাটিংই বাজে হয়েছে। আফগানিস্তান স্পিনারদের সামনে পড়ে নাজেহাল হয়েছে। এরপর আফগান ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ জিতিয়েছেন। তাতে বোঝা যাচ্ছিল, ব্যাটিং যে দল ভালো করবে, জয় তাদেরই হবে। আর বিশেষ করে পরে যারা ব্যাটিং করবে, তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচটিতেও তাই দেখা গেছে। আবার খেলা দুবাইয়ে। এ স্টেডিয়ামে সবসময়ই বেশি রান হয়। বাংলাদেশ পরে ব্যাটিং করার সুযোগ পায়নি। আগেই ব্যাটিং করেছে। তাতে হারও হয়েছে। শ্রীলঙ্কা পরে ব্যাটিং করে জয় তুলে নিয়ে সুপার ফোরে খেলা নিশ্চিত করেছে।
টি-টোয়েন্টি ফরমেটে এশিয়া কাপ এরআগে একবারই হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে। টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কাকে ২৩ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার শ্রীলঙ্কা প্রতিশোধ নিল। সেবার মাশরাফির নেতৃত্বে জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার সাকিবের নেতৃত্বে হার হলো। সুপার ফোরে আর খেলা হলো না বাংলাদেশের। শুরুতেই বিদায় ঘটলো।