স্পোর্টস ডেস্ক – এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে পাকিস্তানকে ২৩ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতে শ্রীলঙ্কা। বাজে সময়ে এমন সাফল্য শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের মোড়ই ঘুরিয়ে দিতে পারবে বলে জানান লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তিনি বলেছেন, ‘দুই-তিন বছর আগেও আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তবে জয় ধরা দিচ্ছিল না, সেই ব্যাপারটি ছিল। এই সাফল্য আমাদের ক্রিকেটের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে আবার। এই দলের বেশির ভাগ সদস্যই আরও অন্তত ৫-৬ বছর খেলতে পারে। এটাও খুব ভালো দিক আমাদের জন্য।’
টি-টোয়েন্টি ফরমেটে হওয়া এশিয়া কাপে নতুন চ্যাম্পিয়ন মিলেছে। এরআগে ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি ফরমেটে হওয়া টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কা শিরোপা জিতে। তবে সবমিলিয়ে ১৫ বারের এশিয়া কাপে ষষ্ঠবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা ঘরে তুললো শ্রীলঙ্কা। এশিয়া কাপের ফাইনাল মঞ্চে ২০১৪ সালেও মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। সেবারের দেখায় পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা উঁচিয়ে ধরে শ্রীলঙ্কা। এবারও একই ঘটনা ঘটল। তৃতীয় শিরোপার আশা নিয়ে ফাইনালে ওঠা পাকিস্তান বাজে ফিল্ডিং আর এলোমেলো ব্যাটিংয়ে ফিরল শূন্য হাতে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ১৭০ রান করে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান ১৪৭ রানের বেশি করতে পারেনি। টস হারের পরও ঘাবড়ে যায়নি শ্রীলঙ্কা। সেই অনুপ্রেরণা মহেন্দ্র সিং ধোনির দল চেন্নাই সুপার কিংস থেকেই পেয়েছেন বলে জানান শানাকা। তিনি জানান, এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিলেও ঘাবড়ে যাননি। বরং শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। শ্রীলঙ্কাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। যে দল গত বছর আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
শানাকা বলেন, ২০২১ সালের আইপিএলে পিছিয়ে গেলেই দেখতে পাব যে প্রথমে ব্যাটিং করেও জিতেছিল চেন্নাই সুপার কিংস (ঈঝক)। এই তরুণরা (শ্রীলঙ্কার তরুণ খেলোয়াড়রা) খুব ভালোভাবে বুঝতে পারে যে ম্যাচ কী অবস্থায় আছে, কীরকম পরিস্থিতিতে আছে দল। পাঁচ উইকেট হারানোর পর হাসারাঙ্গা (ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা) এবং রাজাপক্ষ (ভানুকা রাজাপক্ষ) পার্থক্য গড়ে গিয়েছে।
অধিনায়ক বলেছেন, ক্রিকেটারদের প্রতি বিশ্বাস রাখুন। অনেক বাজে কিছু হচ্ছে চারপাশে। ক্রিকেটার হিসেবে ওদেরও অধিকার আছে নিজেদের জীবন উপভোগ করার। বাজে কিছু ছড়ানোর প্রয়োজন নেই। ওদেরও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিশ্বাস রাখাটাই হলো গুরুত্বপূর্ণ। অধিনায়ক হিসেবে আমি দলকে আত্মবিশ্বাস জোগাতে চেষ্টা করি, যতটা পারি। এর চেয়ে বেশি কিছু ওদের কাছে আর চাইতে পারি না।
অধিনায়ক বলেন, ৫ উইকেট হারানোর পর হাসারাঙ্গা-রাজাপাকসে পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। চামিকা ও ধনঞ্জয়াও ভালো ব্যাটিং করেছিল। ২০তম ওভারের শেষ বলে ৬ ছিল টার্নএরাউন্ড পয়েন্ট। ১৭০ সবসময় কঠিন পুঁজি।
বোলারদের কৃতিত্ব দিয়ে শানাকা বলেন, সবকিছুই ছিল স্নায়ুর। আমি জানতাম এই ছেলেরা সবসময় ভালো বল করে।’ প্রথম ওভারেই দিলশানা মাদুশানকা ৯ রান দেন কোনও বল না করেই, প্রথম পাঁচটি ডেলিভারিতেই এক্সট্রা রান দেন তিনি। তাকে নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘সে শুরুতে ভুল করেছিল। কিন্তু আমরা তাকে আস্থা ও বিশ্বাস দিয়েছি।