মিথুন আশরাফ – ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস একদিনেই শেষ হয়ে গেছে। ২২৭ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এরপর দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ১৯ রান করে ভারত। এখন ২০৮ রানে পিছিয়ে আছে ভারত। দ্বিতীয় দিনে লোকেশ রাহুল (৩*) ও শুভমান গিল (১৪*) ব্যাট করতে নামবেন।
চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে একটু ভালো করতে পেরেছে। তাও মুমিনুল হক (৮৪) ফিরেই দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেয়ায় তা সম্ভব হয়েছে। প্রথম ইনিংসে ৭৩.৫ ওভার খেলতে পারে বাংলাদেশ। মুমিনুল ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান ৩০ রানও করতে পারেননি। দ্বিতীয় সেরা ইনিংস খেলতে পারেন মুশফিকুর রহিম (২৬)। উমেশ যাদব ও রবীচন্দ্রন অশ্বিন ৪টি করে উইকেট শিকার করেন। দিনের খেলা শেষ হওয়ার ১৯ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়। এরপর রাহুল ও শুভমান গিল ব্যাট করতে নেমে দিন শেষ করেন।
বাংলাদেশ ইনিংসে একটি জুটিও ৫০ রানের জুটি হয়নি। মুশফিক ও মুমিনুল মিলে চতুর্থ উইকেটে ৪৮ রানের জুটি গড়েন। এটিই প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি হয়ে থাকে। ৮২ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিক ও মুমিনুল মিলে দলকে শতরানের উপরে নিয়ে যান। ১৩০ রানের সময় যখন মুশফিকও আউট হয়ে যান, এরপর থেকে ১০০ রানও স্কোরে জমা করতে পারেনি বাংলাদেশ। অলআউট হয়ে যায়।
টেস্ট আসলেই বাংলাদেশের ব্যাটিংটা এমন বাজে কেন হয়ে যায়? বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং পরামর্শক সাকিবদের মনোবিদ দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সিডন্স বলেছেন, ‘আমি এখানে ছয়-সাত মাস ধরে আছি। অনেক আলোচনা হয়েছে, অনুশীলনও। কিন্তু যখন কোনো ব্যাটার ক্রিজে যায়, একজনই শটটা খেলতে পারে। আমি পারি না তাদের হয়ে খেলতে। ২৮ রান যখন তারা করে, পরে আরও ২৮ রান এমনভাবে করবে এটাই আশা করা যায়।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘কিন্তু আমরা দেখলাম খেলায় বদল। সাকিব ক্রিজ থেকে বেরিয়ে এসেছে, লিটন একটু বেশি চেষ্টা করতে গেছে। মিরাজ রাশ শট খেলেছে যেটা তার খেলার কথা না। তাদের ছয় ঘণ্টা একই গিয়ারে থাকার দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা পুরো দিন ব্যাট করার কথা বলেছি। ঝলক দেখানো ২৮-৩০ না। এমন ঘটেই যাচ্ছে। ’
দায় কি শুধু ক্রিকেটারদের, আর কারো নয়? পাল্টা প্রশ্নের জবাবে সিডন্স বলছিলেন, ‘আমি টেকনিক্যাল দিক নিয়ে কাজ করি, মানসিক না। এক-দুটো ছাড়া আমার মনে হয় না কোনো টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। তারা উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে আকাশে মারতে চেয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এটা আমার পক্ষে ঠিক করা সম্ভব না। ’
সিডন্স বলেন, ‘এটা এত সহজ না। আপনি যদি সঠিক মানুষ খুঁজে পান, যোগাযোগ ভালো থাকে, ক্রিকেট বুঝে; এটা হয়তো সাহায্য করবে। আমি ক্রিকেটারদের দায়িত্ব দিতে চাই যেকোনো কিছুর চেয়ে বেশি। তারা খেলে, জানে কীভাবে বল মাঠের বাইরে নিতে হয়, এটা কেবল তাদের লম্বা সময় ধরে করতে হবে।’