মিথুন আশরাফ : জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে লড়াই করবে বাংলাদেশ। আর দেড় ঘন্টা পর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫ টায় হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ম্যাচটি শুরু হবে। ম্যাচটিতে জিতলেই সিরিজ নিজেদের করে নেবে বাংলাদেশ। এমন ম্যাচের আগে এক ম্যাচের জন্য দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার নেতৃত্বে কী জিম্বাবুয়েকে আজ সিরিজে হারাতে পারবে বাংলাদেশ?
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানে হারে বাংলাদেশ। সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে। এরপর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জিতে বাংলাদেশ। সিরিজে সমতা আনে। ম্যাচটিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতেও রেকর্ড গড়া ৫ উইকেট শিকারে জয় মিলে। ব্যাটিংয়ে লিটন কুমার দাস হাফসেঞ্চুরি হাকান। ম্যাচটি সিরিজে যখন সিরিজ জয় করা যায় কিভাবে সেই হিসেব নিকেশ করতে থাকে দল, তখন দুঃসংবাদ আসে। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ইনজুরিতে পড়েন। তিন সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হবে। তাতে করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ এবং ওয়ানডে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েন সোহান।
প্রথমবার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পেয়ে দুই ম্যাচের বেশি খেলতে পারলেন না সোহান। তার পরিবর্তে সৈকতকে নেতৃত্ব দেওয়া হয়। আর সোহানকে অধিনায়ক করে যার কাছ থেকে শুধু অধিনায়কত্বই কেড়ে নেওয়া হয়নি, দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল, সেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে আবার দলে নেওয়া হয়। যেহেতু টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হবে, ওয়ানডে সিরিজের দলে থাকা ক্রিকেটাররা এখন জিম্বাবুয়েতেই আছেন, তাই রিয়াদকেই দলে নেওয়া হয়। দুই ম্যাচ পরই তাই আবার দলে ফেরেন রিয়াদ। একাদশেও হয়ত খেলবেন।
আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলে সিরিজ জয় হবে। আর হারলে সিরিজ হার হবে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর যেভাবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাড়িয়েছে বাংলাদেশ, তাতে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটিতেও বাংলাদেশই ফেভারিট থাকছে। যদি বাংলাদেশ জিতে তাহলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৩ সাল থেকে যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে হার হয়নি, তা বজায় থাকবে। ১৪টি সিরিজে বাংলাদেশেরই জয়জয়কার হয়েছে। এবার জিতলে ১৫টি সিরিজে জয় হবে।
সবশেষ ৬ সিরিজে টানা জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ও আছে। ২০০৬ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬ টি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে একটিতেও হারেনি বাংলাদেশ। সবশেষ টানা দুটি সিরিজসহ তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি তিনটিতে ড্র হয়েছে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে কখনোই টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে দুই ম্যাচের সিরিজে ড্র হয়। গতবছর তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতে বাংলাদেশ।
এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষনার সময় প্রথমবারের মতো মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক ও রিয়াদকে ছাড়া দল ঘোষনা করা হয়েছিল। পঞ্চপান্ডবের এক পান্ডবকেও সিরিজে রাখা হয়নি। মাশরাফি ও তামিমতো অবসরই নিয়েছেন। সাকিব সফরে যাবেন না আগেই জানা গেছে। মুশফিককেও নেওয়া হয়নি। রিয়াদের নেতৃত্ব কেড়ে নিয়ে দল থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত রিয়াদকে আবার দলে নিতেই হলো। শুধু রিয়াদকেই নিতে হলো না, সোহান ইনজুরিতে পড়ায় শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্বও সৈকতের কাঁধে দিতে হলো। যদি বাংলাদেশ সিরিজ জিতে, তাহলে সৈকতের হাতেই উঠবে সিরিজ জয়ের শিরোপা। সৈকতের নেতৃত্বে কি জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে সিরিজ জয় করতে পারবে বাংলাদেশ?