স্টাফ রিপোর্টার: দেশে কৃষক প্রতি সরকারের ভর্তুকির পরিমান মাত্র ৯০০ টাকা। আন্তর্জাতিক সংস্থা একশন এইডের করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। বিশ্বের বাছাই করা ১১ টি দেশের ভর্তুকির চিত্র তুলে ধরে সংস্থাটি দেখিয়েছে এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে তলানিতে। যেখানে শীর্ষে থাকা চীনে এই ভর্তুকির পরিমান ২০ হাজার টাকা।
সার ও কৃষি যন্ত্রে সরাসরি ভর্তুকি থাকলেও বীজে নেই। যদিও কখনো কখনো দেয়া হয় বিশেষ প্রণোদনা। সবমিলিয়ে কৃষক প্রতি সরকারের এই ভতুকির পরিমান ৮০০ টাকা মাত্র। আন্তর্জাতিক সংস্থা একশন এইডের করা সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, কৃষককে দেয়া সহায়তার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে তলানিতে। যেখানে শীর্ষে থাকা চীনে এই ভুতকির পরিমান ২০ হাজার টাকা। এমনকি ইন্দোনেশিয়া, বলিভিয়া এবং গুয়েতেমালার মতো দেশুগুলোও রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে।
এরপরও বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত কমাতে হবে কৃষকের ভর্তুকি। তাই ব্যয় সংকোচনের অজুহাতে চলতি অর্থবছরেই কৃষি বাজেট থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে ৮ হাজার কোটি টাকা।
সরকারের ভর্তুকি কমাও নীতিতে যেমন কৃষকদের উৎপাদন খরচ বাড়ছে তেমনি পকেট কাটা পড়ছে ভোক্তাদেরও। এমন প্রেক্ষাপটে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কৃষককে শুধু উপকরণে ভর্তুকি নয়, প্রয়োজনে নগদ অর্থ সহায়তা চান কৃষি অর্থনীতিবিদরা।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, আমরা যদি প্রতি ইউনিট উৎপাদন বাড়াতে চাই তাহলে অবশ্যই আমাদের নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।
দেশের প্রায় দেড় কোটি কৃষকের জন্য বাজেটে ভর্তুকি বরাদ্দ ১৭ হাজার কোটি।