জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ও অভিনেত্রী সামিয়া আফরিন প্রায় আড়াই বছর ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে তাঁর ক্যান্সার ধরা পড়ে, যা তখনই চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।
সামিয়া আফরিন বলেন, ‘২০২২ সালের এপ্রিলে আমার ক্যান্সার ধরা পড়ে। এটি চতুর্থ স্টেজে ছিল, যা আমার পরিবারের জন্য অত্যন্ত ভীতিকর এক মুহূর্ত হয়ে উঠেছিল। তবে আমি বিষয়টিকে ভয় পেতে চাইনি। এটি একটি রোগ, তাই আমাকে লড়তে হবে অথবা নিরাময়ের পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমি ভেঙে না পড়ে, বরং আমার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কখনোই সহানুভূতি চাইনি বা নিজেকে দুর্বল ভাবতে দিইনি। আমি সবসময় শক্ত থাকতে চেয়েছি, কারণ মানসিক দৃঢ়তা একজন রোগীকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।’
নিজের বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সামিয়া জানান, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখন ভালো আছি। প্রায় আড়াই বছর ধরে আমি ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করছি এবং এখন ভালো অনুভব করছি।’
ক্যান্সারের কারণে রোগীরা যেভাবে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় মনে হয়, জীবন শেষ হয়ে গেছে, এরপর আর কিছু নেই। কিন্তু এটি একেবারেই ভুল ধারণা। যদি আমরা চেষ্টা করি, মনোবল শক্ত রাখি এবং জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনি, তাহলে ক্যান্সারকে জয় করা সম্ভব। যদিও এটি সময়সাপেক্ষ, তবে জীবনযাত্রা সঠিকভাবে মেনে চললে ভবিষ্যতে এই রোগ ফিরে আসার সম্ভাবনাও কমে যায়।’
সম্প্রতি রাজধানীর বনানীতে ‘রিভোগ ওয়্যার টু কেয়ার’ নামে একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়, যেখানে তারকাদের পোশাক বিক্রির মাধ্যমে পাওয়া অর্থ ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় ব্যয় করা হবে।
২২ মার্চ উজ্জ্বলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রদর্শনী শেষ হয়। ফাউন্ডেশনটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হলেন সামিয়া আফরিন। তিনি জানান, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো ক্যান্সার রোগীদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসার জন্য সহায়তা প্রদান করা।
উপস্থাপনার পাশাপাশি সামিয়া আফরিন বিভিন্ন নাটকেও অভিনয় করেছেন। ইমরাউল রাফাতের পাপপূণ্য, মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ধুলোর মানুষ ও মানুষের ঘ্রাণ, এবং রাজিবুল ইসলামের ব্লাফমাস্টার সহ আরও কিছু নাটকে তাঁকে দেখা গেছে।