বাদাম এবং খেজুর নিয়মিত খাওয়া ভালো। নিয়মিত দুই থেকে তিনটি খেজুর খেলে অনেক এনার্জি পাবেন আপনি। তবে অন্যান্য মৌসুমে না খেলেও, শীতকালে অবশ্যই খেতে হবে চারটি বাদাম।
তালিকায় কোন কোন বাদাম রয়েছে এবং কেন সেগুলো খাওয়া জরুরি, জেনে নেই—
খেজুর- ন্যাচারাল সুইটনার হিসেবে জনপ্রিয় খেজুর। নিয়মিত দুই-তিনটি খেজুর খেলে ভরপুর এনার্জি পাবেন আপনি। পানিতে ভিজিয়ে খেজুর খেতে পারলে উপকার সবচেয়ে বেশি। শীতকালে খেজুর খেলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক মাত্রায় বজায় থাকবে। এছাড়াও যেহেতু খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে তাই এই ড্রাই ফ্রুট খেলে আপনার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরে থাকবে। হজমশক্তি ভালো করতেও বেশ ভালো কাজ করে ফাইবার সমৃদ্ধ খেজুর।
আমন্ড- প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিনটি বাদাম খান। আগের দিন রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন। তাহলে আর পেটের সমস্যা বা আমন্ড হজম করতে অসুবিধা হবে না। শীতকালে নিয়মিত আমন্ড খেতে পারলে সারাদিন ভরপুর এনার্জি পাবেন আপনি। ফলে কাজ করলে ক্লান্তি আসবে না সহজে। আমন্ডে রয়েছে ভিটামিন ই, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন।
আখরোট- প্রতিদিন আখরোট খেতে পারেন, কিন্তু দুইটা বা তিনটার বেশি নয়। মস্তিষ্ক সজাগ এবং প্রখর রাখতে আখরোট খাওয়া উচিত। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে আখরোটের মধ্যে। আমাদের স্মৃতিশক্তি ভালো করতেও কাজে লাগে আখরোটের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ। হেলদ ফ্যাট থাকার কারণে শীতের দিনে আখরোট খেলে শরীর গরম থাকবে। এছাড়াও আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আখরোট। এটি একটি হেলদ স্ন্যাক্স।
কাজুবাদাম- কাজুবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ভালো। শীতকালে এমনিতেই ত্বক রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যায়। এই সমস্যা দূর করার জন্য কাজুবাদাম খেতে পারেন শীতকালে। তবে পরিমাণে তিন থেকে চারটি, তার বেশি নয়। কাজু যে খেতেই শুধু সুস্বাদু তা কিন্তু নয়। শীতের মৌসুমে আপনার শরীর গরম রাখতেও কাজে লাগে এই বাদাম।