যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) থেকে তারা এই অনুমোদন গ্রহণ করেছে।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২৫’-এর প্রাক্কালে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।
তিনি জানান, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চাইলে বিডা থেকে নিবন্ধন নেওয়া বাধ্যতামূলক। সেই প্রক্রিয়ায় গত ২৯ মার্চ স্টারলিংককে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে স্টারলিংকের যাত্রা শুরু হচ্ছে। আগামী ৯ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে এই ইন্টারনেট সেবা চালু হবে এবং তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে আয়োজিত ইনভেস্টমেন্ট সামিটে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে। অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি সেই ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট প্রকল্প হচ্ছে স্টারলিংক। এটি পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিতে ছোট ছোট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট হাউস, ই-কমার্স ও ডিজিটাল ব্যবসাগুলো এই সেবার আওতায় আসবে।
বর্তমানে স্টারলিংকের ইন্টারনেট গতি প্রতি সেকেন্ডে ১৫০ এমবিপিএস, যা দেশের প্রচলিত ইন্টারনেট গতি (প্রায় ২৫ এমবিপিএস) থেকে অনেক বেশি। ভবিষ্যতে এই গতি আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ১০৮টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট গতির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯০তম।