মিথুন আশরাফ : বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার প্রথম ওয়ানডে দিয়ে আজ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু হবে। হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১ টায় ম্যাচটি শুরু হবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে বেহাল অবস্থা হওয়ার পর পছন্দের ওয়ানডে ফরমেটের সিরিজে কী করবে বাংলাদেশ? সেই জল্পনাই এখন সবখানে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ কতটা শক্তিশালী দল, তা সবারই জানান। সবশেষ ১৫ ওয়ানডের মধ্যে তিন ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। ১২টিতেই জিতেছে। আর সিরিজ হিসেব করা হলে সবশেষ টানা পাঁচটি সিরিজেই জিতেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে গতবছর জুলাইয়ে জিম্বাবুয়েকে হারারেতেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছে। শেষ পাঁচ সিরিজের মধ্যে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে।
সেই হিসেবে জিম্বাবুয়ে সবশেষ ৮ ওয়ানডে সিরিজের একটিও জিততে পারেনি। এরমধ্যে বাংলাদেশের কাছেই দুইবার হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের সাথেও হেরেছে। এমনকি নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের কাছেও সিরিজে হেরেছে। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০২০ সালে সিরিজের একটি ওয়ানডে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এ বছর জানুয়ারিতে একটি জিতেছে জিম্বাবুয়ে। প্রাপ্তি বলতে এতটুকুই।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তো এখন হেসেখেলে ওয়ানডেতে হারে জিম্বাবুয়ে। সবশেষ টানা ১৯টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে হেরেছে জিম্বাবুয়ে। আর সিরিজের হিসেব করা হলে ২০১৪ সাল থেকে কখনোই বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে হারাতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের কাছে টানা পাঁচ ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে জিম্বাবুয়ে। সবকটি সিরিজে হোয়াইটওয়াশও হয়েছে।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ যে কতটা শক্তিশালী দল, তা জিম্বাবুয়েও ভালোভাবেই জানে। তবে এবার সিরিজ জিততে হলে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হবে। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে এখন মানসিকভাবে অনেক মজবুত অবস্থানে আছেন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালও চ্যালেঞ্জের কথা আগেই জানিয়ে রেখেছেন। বলেছিলেন, ‘পরিকল্পনা সবসময়ের মতো একই থাকবে, জিততে চাই।’ সাথে চ্যালেঞ্জ যে আছে তাও জানান তামিম, ‘আসলে আমি সব সময় একটা কথা বলি, (র্যাঙ্কিংয়ে) কে আগে, কে পরে, এটা কোনো বিষয় নয়। কে ভালো খেলছে, এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা ওদের চেয়ে ভালো দল। কিন্তু ওদের দেশে যে সহজেই হারিয়ে দেওয়া যাবে, তা নয়। শেষ কয়েকটা সিরিজ যদি দেখেন, পাকিস্তানের মতো দলও কিন্তু ওখানে গিয়ে হেরেছে। আমাদের রিল্যাক্স করার কোনো সুযোগ থাকবে না। যদি ভালো করতে চাই, প্রথম বল থেকে চেষ্টাটা থাকতে হবে। অবশ্যই আমরা ভালো দল। কিন্তু খেলায় হারজিত নির্ভর করে কে ভালো খেলছে তার ওপর, কে ভালো দল তা দিয়ে হয় না। আমরা যদি ভালো খেলি, অবশ্যই আমরা জিতব।’
এখনতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারায় বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের ভেতরেও একটা আতঙ্ক কাজ করবে। যদিও টি-টোয়েন্টি দলে তামিম, মুশফিকুর রহীম ছিলেন না। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ছিলেন না। ওয়ানডে সিরিজে এই তিন ক্রিকেটারই আছেন। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারায় ওয়ানডে সিরিজ নিয়েও আতঙ্ক থেকেই যাচ্ছে। আর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটাররা এখন মানসিকভাবে অনেক মজবুত হয়ে আছেন। আজ প্রথম ওয়ানডের ৭ আগস্ট দ্বিতীয় ও ১০ আগস্ট তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এখন দেখা যাক, পছন্দের ওয়ানডেতে কেমন করে বাংলাদেশ।