জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সংস্কারের ১৬৬টি সুপারিশের মধ্যে ১১৩টির সঙ্গে একমত হয়েছে। তারা জানিয়েছে, যেসব সুপারিশ সংবিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, সেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে কার্যকর করা সম্ভব। তবে সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন হবে।
আজ রবিবার দুপুরে এনসিপি তাদের লিখিত মতামত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে জমা দেয়। পরে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক সারোয়ার তুষার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সংস্কার সমন্বয় কমিটির সদস্য মুনিরা শারমিন, জাবেদ রাশিম, আরমান হোসাইন ও সালেউদ্দিন সিফাত উপস্থিত ছিলেন।
সারোয়ার তুষার জানান, তারা ১১৩টি সুপারিশের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত এবং ২৯টি সুপারিশের বিষয়ে আংশিক সম্মতি দিয়েছেন। তারা স্প্রেডশিটে মতামত দেওয়ার পাশাপাশি যেসব প্রস্তাবে একমত নন, সেগুলোর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন।
দলটি দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের পক্ষে মত দিয়েছে। তবে তারা বলেছে, নির্বাচনের আগেই উচ্চকক্ষের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, যাতে ভোটাররা আগে থেকেই জানতে পারেন কারা উচ্চকক্ষে যাচ্ছেন।
এনসিপি আরও প্রস্তাব দিয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে পারেন, তবে তা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত নয়।
এছাড়া, তারা মনে করে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়া উচিত, যার মেয়াদ হতে পারে ৭০ থেকে ৭৫ দিন। তবে ভবিষ্যতে এই সরকারের প্রয়োজন নাও হতে পারে, কারণ সংবিধানে প্রস্তাবিত সাংবিধানিক কাউন্সিল এই দায়িত্ব নিতে পারে।