Search
Close this search box.

জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারল বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার : জিম্বাবুয়ের কাছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরে গেল বাংলাদেশ। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১০ রানে হেরে সিরিজ হার হয়েছে। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার হয়েছে। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানে হারের পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-১ সমতা আনে বাংলাদেশ। কিন্তু মঙ্গলবার শেষ ম্যাচে হেরে সিরিজ হার হয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব ফরমেট মিলিয়ে ১৪টি সিরিজের পর হারল বাংলাদেশ।

এবারও টস হারে বাংলাদেশ। টানা তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই টস হেরেছে। আগে ব্যাটিং করে রায়ান বার্লের ৫৪ রান ও বার্ল-জংউইয়ের সপ্তম উইকেটে করা রেকর্ড ৭৯ রানের জুটিতে ৮ উইকেটে ২০ ওভারে ১৫৬ রান করে। মেহেদি হাসান ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট শিকার করে নেন। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৪৬ রান করতে পারে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ধ্রুব অপরাজিত ৩৯ রান করেন।

বাংলাদেশের ইনিংসে শুরুতেই ধ্বস নামে। ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দলের ১৩ রানে ওপেনার লিটন কুমার দাস (১৩), ২৪ রানে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হওয়া পারভেজ হোসেন ইমন (২) আউট হয়ে যান। ৩৪ রানে গিয়ে এনামুল হক বিজয়ও (১৪) যখন আউট হন, বাংলাদেশ বিপদে পড়ে যায়। সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত ও দুই টি-টোয়েন্টির পরই আবার দলে ফেরা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এগিয়ে যাওয়ার আশা দেখান। কিন্তু দলের ৬০ রান হতেই শান্তও (১৬) সাজঘরে ফেরেন। চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।

রিয়াদের সাথে আফিফ হোসেন ধ্রুব ভরসা হয়ে ওঠেন। দুইজন মিলে দলকে ৯৯ রানেও নিয়ে যান। এমন সময়ে ১৫ ওভারের দ্বিতীয় বলে রিয়াদ (২৭) আউট হতেই হতাশা জড়িয়ে ধরে। পরের বলেই এই ম্যাচে অধিনায়কত্ব পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও (০) আউট হলে সব আশা ভরসা যেন শেষ হয়ে যায়।

এমন বিপদের মধ্যেও আফিফ ও মেহেদি হাসান মিলে দলকে টানতে থাকেন। দল ১৩৩ রানেও যায়। দুইজন মিলে ৩২ রানের জুটিও গড়েন। কিন্তু এমন সময়ে ছক্কা হাকাতে গিয়ে মেহেদি হাসান (২২) আউট হয়ে যান। আশা তৈরী হয়। আবার হতাশাতেই পড়ে থাকতে হয়। শেষ ৬ বলে জিততে ১৯ রান দরকার লাগে। কিন্তু ৮ রান করতে পারে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদও (৩) আউট হন। ১৪৬ রানের বেশি করা যায়নি। আফিফ ২৭ বলে ৩ চারে অপরাজিত ৩৯ রান করতে পারেন। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২৭ ও মেহেদি হাসান ২২ রান করেন।

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে শুরুটা বাংলাদেশের দারুণ হয়। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির মতো দ্রুত জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেট তুলে নেওয়া যায়। ৬৭ রানেই ৬ উইকেট শিকার করে নেওয়া যায়। কিন্তু এরপরই শুরু হয় রায়ান বার্ল ও লুক জংউইয়ের ব্যাটিং তান্ডব। দুইজন মিলে এমনই বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন, তাতে জিম্বাবুয়ের রানের গতি মুহুর্তেই বেড়ে যায়। ১৩ ওভারে গিয়ে জিম্বাবুয়ের ৬৭ রান থাকে, সেখান থেকে শেষ ৭ ওভারেই ৮৩ রান হয়ে যায়। বার্ল ও জংউই মিলে সপ্তম উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়ে ফেলেন। জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সপ্তম উইকেটে সেরা জুটি হয়।
বার্ল টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি করেন। এরআগে ২০১৯ সালে মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন বার্ল। অপরাজিত ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এবার ২৮ বলে ২ চার ও ৬ ছক্কায় ৫৪ রান করেন। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের যখন ১৯ ওভার, দলও ১৫০ রানে থাকে, তখন বার্লকে আউট করেন হাসান মাহমুদ। এরআগে দলের ১৪৬ রানে ২০ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রান করা জংউইকেও আউট করে দেন হাসান। বার্ল-জংউইয়ের জুটি ভাঙ্গেন হাসান। শেষে জিম্বাবুয়ে ১৫৬ রান পর্যন্ত যায়।

যখন ৬ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে তখন মনে হয় ১০০ রানও করতে পারবেনা। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির মতোই শেষ দিকে রান তুলে স্বাগতিকরা। নাসুম আহমেদের করা ১৫তম ওভারে তো ৫ ছক্কা ও ১ চার হাকিয়ে ৩৪ রান নেন বার্ল। এরপর জংউইও টানা দুই চার হাকান। দুইজন মিলে রান করতেই থাকেন। তাতে করে জিম্বাবুয়েও মজবুত স্কোরই গড়ে ফেলে। শেষপর্যন্ত জিতেও জিম্বাবুয়ে। সিরিজ জয়ও করে নেয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষঃ