Search
Close this search box.

দিনাজপুরে বিএডিসির গাফলতিতে কৃষকদের ভোগান্তি

দিনাজপুর প্রতিনিধি: বীজ সংকটে খালি পড়ে আছে আবাদি জমি। কৃষকদের অভিযোগ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সঠিক সময়ে বীজ সরবরাহ না করায় আগাম আলু চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। অন্যদিকে মানহীন আর ভেজাল হওয়ায় বেসরকারিভাবে উৎপাদিত বীজে ভরসা নেই কৃষকদের।

দিনাজপুর সদর উপজেলার গৌরীপুর এলাকা। বিস্তীর্ণ মাঠ এখন প্রস্তুত আগাম জাতের আলু আবাদের জন্য। কিন্তু বীজ সংকটে খালি পড়ে আছে জমি। কৃষকরা জানান, বিএডিসি এখনও কৃষক পর্যায়ে বীজ দেয়া শুরু করেনি। মানহীন ও ভেজাল হওয়ায় ভরসা নেই বেসরকারি বীজে। ফলে সঠিক সময়ে চাষাবাদ নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়।

কৃষকরা জানান, চাষাবাদের জন্য তাদের জমি তৈরি হয়ে আছে। কিন্তু বিএডিসি এখনও তাদের বীজ দেয়নি। কিন্তু চাষের সময় শেষ হলে সেই বীজ দিয়ে কি হবে আর। এছাড়া বাজারে যে বীজ আছে সেগুলোর মান ভালো না। সেই বীজগুলো তে কারও আলু হচ্ছে আবার কারও হচ্ছে না।

কৃষকদের অভিযোগ, নিয়ম থাকলেও কখনোই এই এলাকায় কৃষক পর্যায়ে বীজ সরবরাহ করেনি বিএডিসি। বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত মূল্যে ডিলারদের কাছে বীজ কিনতে হয় তাদের। এবার সেই সুযোগও নেই।

তারা জানান, এলাকার কৃষকরা বিএডিসি;র বীজ চোখেই দেখেনি। কৃষকরা ডিলারের কাছে গিয়ে বীজ কিনে নিয়ে আসেন। লোকাল বীজের থেকে হয়তো সেই বীজগুলোর হয়তো বেশি তবুও তারা সেগুলো নিতে রাজি।

যদিও বিএডিসির কর্মকর্তার দাবি, আগাম জাতের আলু বীজ ডিলারদের কাছে সরবরাহ শুরু করেছেন তারা। ২১ অক্টোবর থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে কৃষক পর্যায়ে। তবে তা আগাম জাতের নয়।

দিনাজপুরের বিএডিসি’র উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন, দিনাজপুর অঞ্চলে পাঁচটি জাতের প্রায় ৪৩২ টন আগাম জাতের বীজ সরবরাহ করছি।

এদিকে বিএডিসি থেকে আগাম জাতের এত পরিমাণ বীজ সরবরাহের কথা থাকলেও বাস্তবে এর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ