ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়েলি হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪৮ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।
যুদ্ধবিরতির পরও উদ্ধার হচ্ছে লাশ
দীর্ঘ ১৫ মাসের সহিংসতার পর গত জানুয়ারিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে, এরপর থেকে একের পর এক ধ্বংসস্তূপের নিচে লাশ মিলতে থাকায় মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে।
শনিবার (১ মার্চ), বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানায়, ফিলিস্তিনি উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই গণহত্যামূলক ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৮,৩৮৮ জনে পৌঁছেছে।
আহত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ছেই
- গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে নতুন করে আরও ২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
- আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৮০৩ জনে পৌঁছেছে।
- অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন, কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
যুদ্ধবিরতির শর্ত ও চলমান সংকট
- গত ১৯ জানুয়ারি থেকে তিন-পর্যায় বিশিষ্ট যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
- এই চুক্তিতে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী শান্তি, যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
- তবে, জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েল আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে।
গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি
জাতিসংঘের তথ্যমতে,
- ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৮৫% ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
- গাজার ৬০% অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।