মিয়ানমারে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির সামরিক সরকারের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১,২০০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ২,৩৭৬ জনের বেশি। এখনও অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল শুরু হওয়া উদ্ধার তৎপরতার মাধ্যমে রাজধানী নেপিদো, মান্দালয়, সাগাইংসহ বিভিন্ন শহর ও গ্রামের ধ্বংসস্তূপ থেকে এসব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের কম্পন শুধু মিয়ানমারেই নয়, প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া এবং বাংলাদেশেও অনুভূত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির দিক থেকে থাইল্যান্ডের অবস্থাও গুরুতর। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে কয়েকটি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে, যেখানে এখনো শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। সেখানে ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সামরিক সরকার ইতোমধ্যে নেপিদো, সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো ও পূর্ব শান অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ভূমিকম্পে এসব এলাকায় অসংখ্য ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া, একটি সেতু ও একটি রেলসেতুও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইরাবতি নদীর ওপর অবস্থিত আভা সেতুটি ভেঙে পড়ে পানির মধ্যে হেলে গেছে, যা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে।
চরম বিপর্যয়ের মুখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন, জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।