নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে র্যাব রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্বার জুনুনীসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। নাশকতার পরিকল্পনার সময় গোপন বৈঠক থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালত ছয়জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলায় পাঁচ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন নারী ও অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকায় তাঁদের রিমান্ডের আবেদন করা হয়নি।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে আতাউল্লাহ আরসার প্রধান কমান্ডার হিসেবে পরিচিত, যিনি আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার নির্দেশদাতা ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে ডিজিএফআই কর্মকর্তা রিজওয়ান রুশদী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিও।
সোমবার রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে ভূমিপল্লী আবাসিক এলাকা থেকে এবং চারজনকে ময়মনসিংহের নতুন বাজার মোড় থেকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, ধারালো অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি জানান, এই আসামিরা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই, তাই তাঁদের বাংলাদেশে প্রবেশ ও অবস্থানের উদ্দেশ্য জানতে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।