বাংলাদেশের জাতীয় ফুটবল দলে খেলার স্বপ্ন নিয়ে সিলেটে পৌঁছানোর পর থেকেই বিপুল সংবর্ধনার মধ্যে ছিলেন হামজা চৌধুরী। ওসমানী বিমানবন্দর থেকে পরিবারের সঙ্গে নিজ গ্রামের পথে রওনা হওয়ার পর প্রথমবারের মতো কিছুটা বিশ্রামের সুযোগ পান তিনি। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে যাওয়ার পথে গাড়িটি ক্ষণিকের জন্য থামে, তখনই সুযোগ মেলে তার সঙ্গে কথা বলার।
বাংলাদেশি ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হামজা বলেন, “এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। এখন তো আমি বাংলাদেশেরই হয়ে গেছি। ইনশাআল্লাহ, আরও অনেকবার আসব।”
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মানুষের ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই অনুভূতি অন্যরকম। আমি চাই এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে।”
কিভাবে দিতে চান সেই প্রতিদান? জবাবে হামজা জানান, তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে এশিয়ান কাপে নিয়ে যাওয়া এবং দেশের ফুটবলের জন্য একটি শক্ত ভিত তৈরি করা। তিনি আরও বলেন, “ভালো করার মানসিকতা তৈরি করতে পারলে উন্নতি সম্ভব। আমি আমার সাধ্যমতো সাহায্য করতে চাই।”
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আশাবাদী হামজা বলেন, “আমরা যদি সঠিকভাবে খেলি, তাহলে জয় সম্ভব। কোচের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমরা জিতে ফিরব।”
বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা তার সঙ্গে খেলার জন্য আগ্রহী—এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, “হ্যাঁ, শুনেছি। আমিও তাদের সঙ্গে খেলার জন্য উচ্ছ্বসিত। আশা করি, আমরা সবাই মিলে ভালো কিছু করব।”
এই সফরে স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে বাংলাদেশে এসেছেন হামজা। তিনি জানান, “আগে আমি একাই গ্রামে আসতাম, এবার পুরো পরিবারকে নিয়ে এসেছি। ওরা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে চেয়েছে। যদিও সময় খুব কম।”
হামজার উদ্যোগে গ্রামে একটি মাদরাসা পরিচালিত হচ্ছে। এ নিয়ে তিনি বলেন, “এটি করেছি আল্লাহকে খুশি করার জন্য। বাচ্চাদের আমি খুব ভালোবাসি, তাই এটা করতে আমার ভালো লাগে।”
রোজার মাসেও কিভাবে ফিটনেস ধরে রাখেন? উত্তরে তিনি বলেন, “বিশেষ কিছু করার দরকার হয় না। নিয়মিত ঘুম, নামাজ, অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার মাধ্যমেই নিজেকে ফিট রাখি।”
এছাড়া, ইংলিশ ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে তার দল প্রিমিয়ার লিগে ওঠার পথে এগিয়ে চলেছে। এ নিয়ে তিনি আশাবাদী, “এই দলে খেলতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। আশা করি, আমরা ধারাবাহিকতা ধরে রেখে প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারব।”