কৃষি ডেস্ক: দেশের আলুর বাজার বর্তমানে অস্থির অবস্থায় রয়েছে, যেখানে যৌক্তিক মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজিতে ২৪ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। এর ফলে সাধারণ ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর বলছে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যই মূলত এই দাম বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তবে হিমাগার মালিকরা দাবি করছেন, বীজ আলুর সংকটের কারণে দাম বাড়ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আলুর বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। মৌসুমের শুরু থেকেই আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কৃষি বিপণন অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এক কেজি আলুর উৎপাদন খরচ ১৩ টাকা ৯০ পয়সা, কিন্তু খুচরায় এর যৌক্তিক দাম ৪৬ টাকা। অথচ গত এক সপ্তাহে আলুর দাম ১০ টাকা বেড়ে ৭০-৭৫ টাকায় পৌঁছেছে।
ক্রেতারা জানান, একসময় আলু ছিল গরিবের ভরসা, কিন্তু বর্তমানে দাম বৃদ্ধি তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করেছে। তারা মনে করেন, সরকারের নজরদারি বাড়ালে দাম কিছুটা কমতে পারে। আড়তদাররা জানান, মৌসুমের শেষ দিকে সাধারণত আলুর দাম বাড়ে এবং কোল্ড স্টোরেজগুলো থেকে পর্যাপ্ত আলু সরবরাহ না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৮৫ থেকে ৯০ লাখ মেট্রিক টন আলুর চাহিদার বিপরীতে এবারের মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন। তবে কেন বাজারে দাম বাড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভোক্তার মহাপরিচালক আলীম আখতার খান বলেন, মধ্যস্বত্বভোগীরা হিমাগারে আলু মজুত রেখে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে এবং এ বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, তারা আগামী এক মাসের মধ্যে সব কোল্ড স্টোরেজ ফাঁকা করার চেষ্টা করছে। বীজ আলুর সংকটের কারণে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে এবং তাই দাম বাড়ছে।