রবিবার, ২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

গুলশানে যুবককে গুলি করে হত্যা

গুলশানে যুবককে গুলি করে হত্যা

গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজার সামনে সুমন মিয়া ওরফে টেলি সুমনকে গুলি করে হত্যার পেছনে মহাখালী এলাকার সন্ত্রাসী সংগঠন ‘সেভেন স্টার গ্রুপ’ জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা দাবি করেছেন, ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হলেও হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের সড়কে একদল সন্ত্রাসী গুলি চালিয়ে সুমনকে (৩৫) হত্যা করে। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার সুমনের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সেভেন স্টার গ্রুপের রুবেল ও তাঁর সহযোগীরা একাধিকবার সুমনের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছিলেন এবং তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছিলেন। মৌসুমীর অভিযোগ, এই দ্বন্দ্বের জের ধরেই সন্ত্রাসীরা সুমনকে গুলি করে হত্যা করেছে।

মৌসুমী জানান, মহাখালী টিবি গেট এলাকায় ‘প্রিয়জন’ নামে সুমনের একটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবসা ছিল। একই এলাকায় সেভেন স্টার গ্রুপের রুবেলও কেবল টিভি ও ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালে রুবেলের সহযোগীরা সুমনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কয়েক লাখ টাকার ইন্টারনেট ক্যাবল নিয়ে যায় এবং তাঁকে মারধর করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে সুমন সংযোগ পুনরায় চালু করলেও সন্ত্রাসীরা তাঁকে আবারও হামলার শিকার করে, এমনকি দুই হাত ভেঙে দেয়। ওই ঘটনায় বনানী থানায় মামলা হলেও অভিযুক্তরা জামিনে মুক্তি পায় এবং বারবার সুমনকে হুমকি ও নির্যাতন চালায়।

পরিবারের দাবি, সুমন একসময় রুবেলের এক সহযোগীকে অস্ত্রসহ পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকেই রুবেল বাহিনী তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিল এবং হত্যার হুমকি দিচ্ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় গুলশান-১ এলাকায় কাপড় বানাতে গিয়ে সুমনকে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে পুলিশের গুলশান বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মো. তারেক মাহমুদ জানান, ইন্টারনেট ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ ছাড়াও অন্য কোনো কারণ ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ ঘটনায় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও র‍্যাবও তদন্ত করছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, নিহত সুমনের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজি ও মারামারির অভিযোগে গুলশান, বনানী ও বাড্ডা থানায় ছয় থেকে সাতটি মামলা রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও সংবাদ >

সর্বশেষঃ