পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ট্রাফিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ট্রাফিক নির্দেশনাসমূহ:
ঢাকা মহানগরীতে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এর অভ্যন্তরের বাইরে কোন বাসই সড়কে বাস রেখে বা থামিয়ে যাত্রী ওঠাবে না। যাত্রীরা টার্মিনালের ভিতরে থাকা অবস্থায় বাসের আসন গ্রহণ করতে পারেন। সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
ঢাকা মহানগরীতে আন্তঃ জেলা ও দূরপাল্লার বাসগুলো টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে দাঁড়াবে না।
ঢাকা মহানগরী হতে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে নিবৃত থাকতে হবে।
আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রীগণ বা গমন প্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভিতরে অবস্থান করার জন্য আহবান করা হলো।
ঢাকা মহানগরী হতে দূরপাল্লার ফিটনেসবিহীন ও রুটপারমিটবিহীন বা অননুমোদিত রুটে কোন বাস চলাচল করবে না। বাসের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে এ বিষয়টি কঠোরভাবে মেনে চলবেন এবং কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করবেন।
বাসের ভিতর যাত্রীদের অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট বহন করবেন।
আন্তঃজেলা ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন যেমন বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, বনানী, তেজগাঁও, কমলাপুর ইত্যাদি স্টেশনে এবং স্টেশন হতে যাত্রী সাধারণ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সে বিষয়ে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সচেষ্ট থাকবে।
ঈদ উপলক্ষে লঞ্চ টার্মিনাল কেন্দ্রিক যেন কোন যানজট সৃষ্টি না হয় সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
যাত্রীদের মালামাল নিজ হেফাজতে সাবধানে রাখবেন।
কোন যানবাহনেই ছাদের উপর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না।
যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসের চালকরা এমন কোন অসম প্রতিযোগীতায় অংশ নিবেন না যেন সড়কের শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটে ও জীবনহানীর সম্ভবনা থাকে।
টার্মিনাল ভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে।
মোটরসাইকেল চালক এবং আরোহীরা যেন সর্বদা হেলমেট পরিধান করে এবং গতিসীমা মেনে চলাচল করে সে বিষয়টি ট্রাফিক পুলিশ নিশ্চিত করবে।
অনেক সময় টার্মিনাল বা আশেপাশের ফাঁকা জায়গায় খালি ট্রাক/পিকআপে যত্রতত্র যাত্রী ওঠিয়ে দূরপাল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার প্রয়াস চালায়। ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ এ বিষয়ে অতীতেও সোচ্চার ছিল এবং সবসময় থাকবে।
ঈদ উপলক্ষে অতিরিক্ত লাভের আশায় আন্তঃসিটি গণপরিবহনগুলো রুটপারমিটবিহীন/অনুমোদনবিহীন যেন ঢাকা মহানগরীর অভ্যন্তরে যত্রতত্র না চলে সে বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মালিক/শ্রমিক প্রতিনিধির সাথে নিয়মিত আলোচনা অব্যাহত আছে।
পবিত্র ঈদুল আযহায় ঢাকা মহানগরী হতে বাইরে এবং বাইরে থেকে ঢাকা মহানগরীতে নিয়মিত জনসাধারণের আসা-যাওয়া চলমান থাকে। এজন্য মহানগরীর এন্ট্রি ও এক্সিট এ যেন কোনরুপ যানজট তৈরী না হয় সে লক্ষ্যে এইরূপ প্রতিটি পয়েন্টে এ হাইওয়ে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের সাথে ডিএমপি ট্রাফিক পুলিশের শক্তিশালী কো-অর্ডিনেশন থাকবে।
পশুবাহী গাড়িসমূহ অবশ্যই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অনুমোদিত হাটের ভিতর লোড-আনলোড করতে হবে। কোনক্রমেই হাটের বাইরে অথবা রাস্তায় লোড-আনলোড করা যাবে না।
গরুর হাট কেন্দ্রীক সুষ্ঠু ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশন, হাট ইজারাদার, পরিবহন মালিক, শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হবে।
কোরবানির পশুবাহী যানবাহনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে যাতে কোন হয়রানির শিকার না হয়।
বাস টার্মিনাল ও গরুর হাট কেন্দ্রিক সার্ভিল্যান্স টিম গঠন থাকবে।
ঈদ উল আজহার সাত দিন পূর্ব থেকে গরুর হাট কেন্দ্রিক সার্বক্ষণিক ফোর্স মোতায়েন করা হবে এবং প্রয়োজনে ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হবে।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ জনসাধারণের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।