আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে মন্তব্য করেছেন, তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিল থেকে বলা হয়, যদি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হয়, তাহলে দেশে রক্তের স্রোত বয়ে যাবে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) জুমার নামাজের পর ইনকিলাব মঞ্চের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি হল এলাকা, প্রশাসনিক ভবন ও ভিসি চত্বর ঘুরে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশে পরিণত হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন—“আওয়ামী লীগের বিচার চাই”, “আওয়ামী লীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে”, “একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর”, “ইউনূস সাহেবের বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে”, “গণহত্যার বিচার চাই”, “অবিলম্বে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে”, “আওয়ামী লীগের বিষদাঁত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও”, “শহীদেরা দিচ্ছে ডাক, আওয়ামী লীগ নিপাত যাক” ইত্যাদি।
বিক্ষোভ মিছিলে ‘খুনি লীগের পুনর্বাসন, রুখে দাও জনগণ’, ‘জুলাইয়ের বাংলায়, গণহত্যাকারীদের ঠাঁই নাই’ লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, “আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে বাংলাদেশে রক্তপাত হবে। দুই হাজারের বেশি শহীদ ও অসংখ্য আহতের রক্তের শপথ নিয়ে বলছি—আমরা বেঁচে থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেব না।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ যদি কিছু আসন নিয়েও বিরোধী দলে থাকে, তাহলে তারা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাবে। তারা ভারত ও ইসরায়েলের সহযোগিতায় বিএনপিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আবারও দেশজুড়ে নৃশংসতা চালাবে। আহতদের নির্মমভাবে হত্যা করবে। তাই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।”