দিনাজপুর প্রতিনিধি: নিয়ম থাকলেও সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএডিসি থেকে মেলেনি বীজ আলু। বাধ্য হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে কিনে আলু রোপন করলেও পঁচে যাচ্ছে বেশিরভাগ। ফলে লোকসানের শঙ্কায় দিনাজপুরের কৃষকরা। অভিযোগ, অসৎ উদ্দেশ্যে সরবরাহ সংকট দেখিয়ে প্রতারণা করেছে বিএডিসি ও ডিলাররা।
দিনাজপুর সদরের শান্তিরবাজার এলাকার কৃষক জিল্লুর হোসেন। ৪ বিঘা জমিতে বুনেছেন বিনা-৭ জাতের আলু বীজ। যার বেশিরভাগই পঁচে গেছে মাটির নিচে। তিনি জানান, এক বিঘা জমিতে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু পঁচে যাওয়ায় জমিতে আবারও আলু বীজ আবারও লাগাতে হবে।
শুধু জিল্লুর নয়, একই অবস্থা ওই এলাকার বেশিরভাগ কৃষকর। অভিযোগ, নিয়ম থাকলেও আলু বীজ মেলেনি সরকারি প্রতিষ্ঠান বিএডিসি থেকে। তাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আলু বীজ কিনে পড়তে হয়েছে ক্ষতির মুখে।
কৃষকদের অভিযোগ, আলু বীজ নিয়ে প্রতারণা করেছে বিএডিসি ও ডিলাররা। অতি মুনাফার লোভে দেখাচ্ছে সরবরাহ সংকটের অজুহাত। কৃষকরা জানায়, লোকাল আলু কিনে আমরা বিপদে পড়েছি।
এদিকে, সরকারের ঠিক করে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রির বিষয়টি জানেন না বলে দাবি কৃষি কর্মকর্তার। দিনাজপুর বিএডিসি উপ পরিচালক(বীজ বিপনন) আব্দুর রশীদ জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।
নানা কারণেই আলু বীজ পঁচে যেতে পারে বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।